“আমি আগের ঠিকানায় আছি। সময় পেলে এসো একবার…. দু’জনে কিছুক্ষণ বসি পাশাপাশি….. আমি আগের ঠিকানায় আছি ……………”
আমার কাছের মানুষেরা আমার ঠিকানায় আসবে না আমি জানি। কেউ এসে বলবে না, তুমি সত্যি ভাল আছ তো ? তবুও আমার আজঅব্দি আমার কাছের মানুষগুলোর প্রত্যাবর্তনের আশায় প্রহরগোণা………..
প্রিয় লীলা,
বুকের ভিতর কেমন যেন করছে আমার। কোন কোন রাতে এমন হয় আমার। কোন কিছুই করতে ভাল লাগে না; না গল্প করতে, আড্ডা দিতে, না গুমোতে, না গল্পের বই পড়তে। ফাঁকা ফাঁকা লাগে সবকিছু- মাথার ভিতর, বুকের ভিতর, আশেপাশের চারপাশ। তাই ভাবলাম একটা চিঠি লিখি। কিন্তু কাকে লিখা যায় ? ভাবতে ভাবতে প্রথম তোমার কথাই মাথায় আসলো। ভয় হয় চিঠির মূল্য না দিয়ে অবঙ্গা করে ? কারণ আমি শুধু আমার কাছের মানুষগুলোকেই চিঠি লিখি। খুব যত্ন করে লিখার চেষ্টা করি। একটা কথা কি জান, আমি আমার কাছের মানুষগুলোকে খুব ভালবাসি। আমার কাছের মানুষগুলো আমায় যতটা ভালবাসে, আমায় যতটা ঘৃণা করে তার চেয়েও বেশি। হাঁ তার চেয়ের বেশি…………..
তোমায় লিখা এটা আমার প্রথম আর হয়ত এটাই শেষ চিঠি।একটি ছেলে একটি মেয়েকে চিঠি লিখলেই যে সেটি প্রেমপত্র হবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। এটা তারাই বিশ্বাস করে যারা সংকীর্ণমনা, যাদের বন্ধনের প্রতি বিশ্বাস নড়বড়ে। তথ্য-প্রযুক্তির যুগে আমরা চিঠি লিখা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি। অথচ তুমি কি জান, চিঠির মাধ্যমে শব্দমালা দিয়ে তুমি অপর একটি মানুষের মন ছুয়ে দিতে পারবে………
বিশ্বাসটা অনেকেই করেন- যারা গুছিয়ে কথা বলতে পারে, তারাগুছিয়ে লিখতে পারে না আর যারা গুছিয়ে লিখতে পারে তারা গুছিয়ে বলতে পারে না।কিন্তু আমার বেলা দুটোর কোনটিই খাটে না কারন আমি দুটোর কোনটিই পারি না……….!!!!! যা বলতে চাই তা বোঝাতে পারলেই আমি স্বার্থক………।
প্রিয় লীলা, ভালবাসার মানুষতো তাকেই বলে যে, আমার পিছনেও হাঁটবে না আমার সামনেও হাঁটবে না, বরং আমার হাত ধরে আমার পাশাপাশি হাঁটবে। যার অনুভূতি আর অস্তিত্বে থাকবে আমার প্রগাঢ় উপস্তিতি আর ছোঁয়া।যার হাত ধরে আমি আমার সীমাবদ্ধতা গুলোকে অতিক্রম করার সাহস করবো। অথচ কি অদ্ভুত দেখো ! আমার মত একটা মানুষকে দু’দিন দেখেই, আমার সাথে কথা বলেই নাকি তোমার ভাল লেগে গেল !!!!!! তুমি অন্য একটি ছেলেকে ভালবাসতে, সেও তোমায় ভালবাসত এবং এখনো বাসে। আমার প্রতি হয়ত তোমার ভাল লাগার সূচনা হয়েছিল, কিন্তু ভালবাসার সৃষ্টি হয় নি। একটি মানুষের ছায়া কি অন্য একটি মানুষের মাঝে চাইলেই দেখতে পাওয়া যায় বল ? না, যায় না। কারন আমরা প্রতিটি মানুষই স্বতন্ত্র, তেমনি স্বতন্ত্র আমাদের চিন্তাভাবনা, স্বপ্ন……… তোমার ভালবাসার মানুষটির সাথে তোমার সমস্যা গুলোর কথা গুলো শেয়ার কর, দেখবে সমাধান সেখানেই বেড়িয়ে আসবে। তুমি তার সাথেই সুখে থাকবে……….
মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ কি বলতে পারো ? মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ হল সরলতা। এই সরলতা এমন একটি গুণ যার মাঝে থাকে না কোন ভণিতা, কোন স্বার্থ, কোন উদ্দেশ্য……… স্পৃহাহীণ আমি এক অদৃশ্য পরিচালকের আঙ্গাবহ দাস। নিজেই নিজের জন্য যে গোলক ধাঁধা তৈরি করেছি তা থেকে কি চাইলেই আমি বের হয়ে আসতে পারি ??? না, পারি না। বাইরে থেকে কি বোঝা যায় একটি মানুষের ভিতরে কি চলছে ? না, যায় না। আমার মাঝে যে একটি নয় হাজারো পলিপ আছে তা আমি জানি। আর এক একটি পলিপ তৈরি হয়েছে এক-একটি ভুলের জন্য, এক একটি ব্যর্থতার জন্য, কাছের মানুষগুলোর কাছে থেকে অবহেলা পাবার জন্য, কাছের কিছু বন্দুদের দ্বারা বারবার Betray এর সীকার হওয়ার জন্য……..।
কবিতা পড়তে আমার খুব ভাল লাগে। এটি আমার একটি অতি প্রিয় কবিতা। না, আমি লিখি নি। “রেডিও আমার” এ প্রতি শুক্রবার ছেঁড়াপাতা নামক একটি কবিতার অনুষ্টান হয়। এটা আমার খুব প্রিয় ছিল। যখন দেশে ছিলাম তখন প্রতি শুক্রবার নিয়ম করে শুনতাম। সেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
কি দেব তোমায় বল ?
আমি যে মেঘ নই যে তোমায় বৃষ্টি দেব
আমি অসীম নীলিমাও নই যে তোমায় স্নিগ্ধতা দেবো
আমি এক ব্যথিত মানুষ, এমন হৃদয় ভরা ভালবাসি কই ?
আমার ঘরে ফুল ফোটাব, ককনো হাসির রাশি দেব উপহার
তার মত কিছুই তো নেই !!!!!
আমার হাতদুটি এত আলোকিত নয় যে,
অসুখী শরীরে ছোঁয়া দেব আর ছেরে যাবে তোমার সব অসুখ।
আমিতো শিশির নই যে তোমার রুক্ষপত্র সিক্ত করবো
আমি কোন কুলুকুলু নদী নই যে,
তোমার হৃদয়ের শস্যক্ষেত ভিজিয়ে দেবো।
এমনকি কোন অরণ্য উদ্বিদ নই যে,
তোমার দুঃখের পাশে ফুটেঁ থাকবো চাঁপা কি বকুল হয়ে।
আমি কোন শিউলি নই তোমার, ভোরের শুভ্র শয্যা বিছাব।
আমি কোন তৃণ নই যে, বুক পেতে দেব মাথা রেখে অবসাদে শোবে।
এমনকি ঝড়া পাতাও নই যে, বন হবো
ভালবেসে টিপটাপ সারারাত ঝড়বো তোমার সিথানে।
আমি শুধু দিতে পারি ………………… একগুচ্ছ কষ্ট ।।
[ সংগৃহীত ]
জীবনে আমি অনেক ভুল করেছি। মাঝে মাঝে মনে হয় ভুল কোন জীনিসই জীবনে রাখতে নেই। আমরা প্রতিটি স্বতন্ত্র মানুষের কাছে জীবনের অর্থও ভিন্ন ভিন্ন। চারদিকে অসংখ্য ভুলের ছড়াছড়ি। বুকভরা ভালবাসা নিয়ে চলতে চলতে আমার কেবলই মনে হঢ আমার চিন্তার পূর্ণজন্ম হয়েছে। প্রেম জীবনকে দেয় ঐশ্বর্য, মৃত্যুকে দেয় মহিমা, প্রবঞ্চিতকে দেয় দাহ আর অনুতপ্তকে কি দেয় ? প্রেম, অনুতপ্তকে দেয় হাহাকার। তীব্র হাহাকার, পাঁজর ভাঙার মত হাহাকার……………….
আমাদের এখানে প্রায় প্রতিদিন বিকেলে অথবা রাতে বৃষ্টি হয়। আজ চমৎকার জ্যোৎনা উঠেছে। আকাশের ঠিক মাঝখানে যেমন মায়াবতী নারীরা কপালের ঠিক মাঝখানে টিপ পড়ে, তেমনি পুটে আছে চাঁদ মামা। আর সূর্যথেকে আলো নিয়ে তাকে জ্যোৎস্নায় রূপান্তরিত করে আমারদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে। চারদিক জ্যোৎনার বন্যায় ভেসে যাচ্ছে।আমার মত ঘূণেধরা,আট পৌরে মানুষগুলো যারা হাজারো পলিপ নিয়ে চলে, তারাও আজ জ্যোৎনার রূপালী আলোয় নিজের ছায়া দেখতে পায় যেমন করে আমি পাচ্ছি। সব মানুষ, দালানকোঠা, জীবজন্তু, পশুপাখি ইচ্ছেমত জ্যোৎস্না গায়ে মেখে আনন্দে অবগাহন করছে। আমার মত ঘূণেধরা মানুষগুলো আকাশের দিকে তাকিয়ে জ্যোৎস্না গায়ে মাখতে মাখতে ভবিষ্যতের স্বপ্নে আচ্ছন্ন হয়। নিজের গোলাপ পূর্ণ হৃদয় সম্পূর্ণ সমর্পণ করতে চায় ভালবাসার মানুষঠটকে আর ভালবাসার মানুষটিকে আলিঙ্গন করে অন্তহীণ সুখ অনুভব করতে চায়। আমার কাছে যদিও সুখটির চেয়ে স্বপ্নটি গুরুত্বপূর্ণ। কারন সুখের স্বপ্ন, সুখের চেয়ে প্রলম্বিত। সুখ মুহুর্তের আর স্বপ্ন ……………???
স্বপ্নতো চিরদিনের……………………..